কক্সবংলা ডটকম(১০ মার্চ) :: বর্তমানে দেশের দুই-তৃতীয়াংশ ব্যাংকের অবস্থাই দুর্বল। এর মধ্যে ১২টির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক, যার ৯টি ইতোমধ্যে রেড জোনে চলে গেছে। অপর ৩টি রেড জোনের খুব কাছাকাছি থাকলেও তাদের অবস্থান ইয়োলো জোনে। এর বাইরে আরও ২৬টি ইয়োলে জোনে অবস্থান করছে। অন্যদিকে মাত্র ১৬টি ব্যাংক গ্রিন জোনে স্থান পেয়েছে।
এর মধ্যে ৮টিই বিদেশি ব্যাংক। অর্থাৎ গ্রিন জোনে দেশীয় ব্যাংকের সংখ্যা মাত্র ৮টি। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিচারে রেড জোনের ব্যাংকগুলো সবচেয়ে খারাপ (পুওর) এবং ইয়োলো জোনের ব্যাংকগুলো দুর্বল (উইক)। আর গ্রিন জোনের ব্যাংকগুলো ভালো মানের (গুড)। অর্থাৎ দেশে এখন সবলের চেয়ে দুর্বল ব্যাংকের সংখ্যাই বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ব্যাংক হেলথ ইনডেস্ক অ্যান্ড হিট ম্যাপ’ শীর্ষক এক গোপন প্রতিবেদনে এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। এতে দুর্বল ব্যাংকগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। সম্প্রতি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের অনুমোদন নিয়ে ওই প্রতিবেদন অফসাইট সুপারভিশন, ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি এবং পরিদর্শন বিভাগগুলোতে পাঠানো হয়েছে। ২০২৩ সালের জুনভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। দেশে সবল ব্যাংকের সঙ্গে যখন দুর্বল ব্যাংক একীভূত করার আলোচনা জোরালো হচ্ছে, তখনই সামনে এলো এমন ভয়াবহ তথ্য।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিশেষ তদারকি করেও দুর্বল ব্যাংকগুলোর অবস্থার উন্নতি করা যাচ্ছে না। সংকট উত্তরণে সর্বশেষ গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংক মালিকদের বৈঠকে দুর্বল ব্যাংক একীভূত করা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়, যা আগামী বছর থেকে কার্যকর করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে ২০২২ সালের ১২ জুলাই আব্দুর রউফ তালুকদার গভর্নর হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যোগ দিয়েই দুর্বল ব্যাংকগুলোকে পৃথকভাবে তদারকির উদ্যোগ নেন। ওই বছরের ৩ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ১০টি দুর্বল ব্যাংককে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণের নির্দেশনা দেন তিনি। কিন্তু গত দেড় বছরে এ ১০টি ব্যাংকের অবস্থারও উন্নতি হয়নি। এসব ব্যাংকের অধিকাংশের অবস্থানই রেড জোনে।
নিয়মনীতি পরিপালনে ঘাটতি, ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি, পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্বহীনতা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের শক্ত অবস্থান না নেওয়ার কারণে দেশে দুর্বল ব্যাংকের সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করেন সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, অর্থনীতির আকারের তুলনায় দেশে ব্যাংকের সংখ্যা বেশি। আর যেগুলো বেশি দেওয়া হয়েছে সেগুলোর বেশির ভাগই রাজনৈতিক বিবেচনায় অথবা ক্ষমতার কাছাকাছির কেউ নিয়েছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো দক্ষতার সঙ্গে ভালোভাবে চালালে কোনো প্রশ্ন উঠত না। বরং সময়মতো এগুলোকে মনিটরিং না করে উল্টো বিভিন্ন সময় নানা ছাড় দেওয়া হয়েছে। তখন ব্যবস্থা নিলে এই তালিকা এত দীর্ঘ হতো না।
বর্তমানে দেশে তফসিলী ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি। তবে আলোচ্য প্রতিবেদনে ৫৪টি ব্যাংকের তথ্য নেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের জুন হতে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এই ৫৪টি ব্যাংকের ছয়টি ষান্মাষিক তথ্য বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলোচ্য ছয়টি ষান্মাষিকে এই ৫৪ ব্যাংকের মধ্যে ৩৮টির অবস্থার অবনতি হয়েছে। আর ১৬টির অবস্থার উন্নতি হয়েছে। বাকি ৭টির মধ্যে তিনটির আর্থিক অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
এগুলো হলো- বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। কারণ এই ৫৪ ব্যাংকের পর্ববেক্ষণ তথ্যের সঙ্গে এই ব্যাংক ৩টির তথ্যে ব্যাপক অসঙ্গতি ও ভিন্নতা রয়েছে। এ জন্য ব্যাংকগুলোর তথ্য আলোচ্য পর্যবেক্ষণেই নেওয়া যায়নি। আর ঐতিহাসিক তথ্যের অভাবে অপর ৪টি ব্যাংকের তথ্যও বিবেচনায় নেওয়া সম্ভব হয়নি। এগুলো হলো- বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজম্যান্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, যখন একের পর এক ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল, তখনই বলা হয়েছিল একটা এক্সিট পলিসি করার জন্য। এখন দুর্বল ব্যাংকগুলোকে বাঁচানোর (একীভূত করা) নামে আরেকটা সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে। এখন এ ধরনের সুযোগ দেওয়া হলে সবার মধ্যে ‘যা খুশি তাই করো, বাংলাদেশ ব্যাংকই তো আছে’ বলে ধারণার জন্ম নেবে। তার মতে, কিছু দুর্বল ব্যাংককে বন্ধ করার জন্য এই মুহূর্তে এক্সিট পলিসি নিতে হবে। দায়ীদের শিক্ষা দেওয়ার জন্যই এটা করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৫ সালের জুন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল স্টাবিলিটি বিভাগ নিয়মিত ব্যাংকগুলোর এই স্বাস্থ্য সূচক ও হিটম্যাপ প্রতিবেদন তৈরি করে আসছে। এই প্রতিবেদন তৈরিতে ক্যামেলস রেটিং ও ব্যাসেল-৩ আওতায় প্রস্তাবিত লিভারেজ অনুপাত বিবেচনায় নেওয়া হয়। ক্যামেলস রেটিং হচ্ছে ব্যাংকের সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিমাপের মানদণ্ড।
ব্যাংকের মূলধন পর্যাপ্ততা, সম্পদের মান, ব্যবস্থাপনা, উপার্জন ক্ষমতা, তারল্য প্রবাহ ও বাজার ঝুঁকির প্রতি সংবেদনশীলতা এই ৬ সূচকের অবস্থার ভিত্তিতে এই রেটিং নির্ধারিত হয়। অন্যদিকে ব্যাংকের টায়ার-১ মূলধন ও মোট সম্পদের অনুপাতকে লিভারেজ অনুপাত বলা হয়। আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানকল্পে ব্যাংকগুলোকে বিদ্যমান লিভারেজ অনুপাত ৩ শতাংশের সঙ্গে ২০২৩ সাল থেকে বার্ষিক শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ হারে ২০২৬ সালে মধ্যে এক শতাংশে উন্নতি করার নির্দেশনা রয়েছে।
রেড জোনে ৯ ব্যাংক :
এ তালিকায় সবার শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। ব্যাংকটির বিএইচআই স্কোর নেগেটিভ ১২ দশমিক ১০ শতাংশ, যা ২০২২ সালের ডিসেম্বরেও ছিল নেগেটিভ ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পদ্মা ব্যাংকের স্কোর নেগেটিভ ১১ দশমিক ২১ শতাংশ। ব্যাংকটির ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এই স্কোর ছিল নেগেটিভ ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ। অর্থাৎ আলোচ্য ছয় মাসে এই ব্যাংকটির অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ হয়েছে। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বেসিক ব্যাংক। এ ব্যাংকটির স্কোর নেগেটিভ ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ, যা ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ছিল নেগেটিভ ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। অন্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের স্কোর নেগেটিভ ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংকের নেগেটিভ ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ, জনতা ব্যাংকের নেগেটিভ ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ, অগ্রণী ব্যাংকের নেগেটিভ ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ, রূপালী ব্যাংকের নেগেটিভ ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ ও এবি ব্যাংকের নেগেটিভ ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
আরও ৩টি রেড জোনের কাছাকাছি :
ব্যাংকগুলো হলো- বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), সোনালী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলোর স্কোরও নেগেটিভ এবং হিট ম্যাপ দেখাচ্ছে যে, তাদের রঙ লালচে (সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি) হওয়া শুরু করেছে। যদিও আলোচ্য ষান্মাসিকে বিডিবিএল ও সোনালী ব্যাংকের নেগেটিভ স্কোরের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিচারে এই ব্যাংকগুলো এখনো ইয়োলো জোনে আছে। ব্যাংকগুলোর স্কোর যথাক্রমে ২ দশমিক ০৪ শতাংশ, ১ দশমিক ২৩ শতাংশ ও ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
ইয়েলো জোনে আরও ২৬ ব্যাংক :
এই ২৬ ব্যাংকের প্রত্যেকটির স্কোরও নেগেটিভ ধারায় রয়েছে। এর মধ্যে আইএফআইসি ব্যাংকের ১ দশমিক ৭২ শতাংশ, মেঘনা ব্যাংকের ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ব্যাংকের ১ দশমিক ৭২ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংকের ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১ দশমিক ৪৪ শতাংশং, এনআরবি ব্যাংকের ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ, আল আরাফাহ ব্যাংকের ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ১ দশমিক ২১ শতাংশ, ইউনিয়ন ব্যাংকের ১ দশমিক ২১ শতাংশ, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের দশমিক ৯৪ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দশমিক ৮০ শতাংশ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের দশমিক ৭৮ শতাংশ, এক্সিম ব্যাংকের দশমিক ৭৬ শতাংশ, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের দশমিক ৬৬ শতাংশ, গ্লোবাল ব্যাংকের দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের দশমিক ৫৮ শতাংশ, ব্র্যাক ব্যাংকের দশমিক ৫৬ শতাংশ, সাউথইস্ট ব্যাংকের দশমিক ৫০ শতাংশ, দ্য সিটি ব্যাংকের দশমিক ৪৮ শতাংশ, ট্রাস্ট ব্যাংকের দশমিক ৪৭ শতাংশ, সাউথ বাংলা ব্যাংকের দশমিক ৪২ শতাংশ, মধুমতি ব্যাংকের দশমিক ৩৯ শতাংশ, ঢাকা ব্যাংকের দশমিক ৩৭ শতাংশ, উত্তরা ব্যাংকের দশমিক ৩০ শতাংশ ও পূবালী ব্যাংকের দশমিক ২৬ শতাংশ। আলোচ্য ষান্মাষিকে ইয়েলো জোনে থাকা দুটো ব্যাংকের নেগেটিভ স্কোরে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এগুলো হলোÑ সাউথ বাংলা ও সাউথইস্ট ব্যাংক। বাকি ২৪টির অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।
গ্রিন জোনে মাত্র ১৬টি, যার ৮টিই বিদেশি :
এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্তত ১০টি ব্যাংক ১ শতাংশের কম স্কোর অর্জন করেও গ্রিন জোনে স্থান পেয়েছে। বাকি ব্যাংকগুলোর স্কোর ২ থেকে ৭ শতাংশের ঘরে, যার সবকয়টিই বিদেশি খাতের। সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ স্কোর পেয়ে ভালো ব্যাংকের তালিকার শীর্ষে রয়েছে বিদেশি খাতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। অন্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংক ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ, সিটি ব্যাংক এনএ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ, এইচএসবিসি ২ দশমিক ০৯ শতাংশ ও উরি ব্যাংক ১ দশনিক ৯৯ শতাংশ স্কোর পেয়েছে। বিদেশি অন্য ব্যাংকের মধ্যে ব্যাংক আল ফালাহ দশমিক ৪৪ শতাংশ, হাবিব ব্যাংক দশমিক ২৯ শতাংশ স্কোর পেয়েছে।
দেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ দশমিক ৯৪ শতাংশ স্কোর পেয়েছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। এ ছাড়া যমুনা ব্যাংক দশমিক ৬৬ শতাংশ, সীমান্ত ব্যাংক দশমিক ৫৫ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়া দশমিক ৪৬ শতাংশ, মিডল্যান্ড ব্যাংক দশমিক ৩৫ শতাংশ, এনসিসি ব্যাংক দশমিক ৩১ শতাংশ, ইস্টার্ন ব্যাংক দশমিক ১২ শতাংশ ও প্রাইম ব্যাংক দশমিক ০২ শতাংশ স্কোর পেয়েছে। আলোচ্য ষান্মাসিকে শাহজালাল ইসলামী ও যমুনা ব্যাংকের স্কোরে সামান্য উন্নতি হয়েছে।
প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন বলেন, দুর্বল মানে একেবারে শেষ না। ব্যাংকগুলো দুর্বল হওয়ার পেছনে পরিচালনা পর্ষদ, ম্যানেজমেন্ট এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুর্বল মনিটরিংও দায়ী থাকতে পারে। তবে সেই দায়ে না গিয়ে বিদ্যমান নীতিমালার আওতায় পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই ব্যাংক খাতের জন্য ইতিবাচক হবে।
Posted ২:৫৬ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta